রংপুরের বাজারে নতুন করে দাম বৃদ্ধির তালিকায় যুক্ত হয়েছে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ। সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুটি পণ্যের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া সবজির দাম প্রায় অপরিবর্তীত থাকলেও তেলের বাজারে কোনো সুখবর নেই। দাম বেড়েছে মুরগি ও চালের। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১৬৫-১৬৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন গত সপ্তাহের মতোই ১৯৫-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত পাঁচ লিটার তেল আগের মতোই ৭৯৫-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও তা সহজেই মিলছে না। সংকট দেখা দিয়েছে পাঁচ ও দুই লিটার বোতলের।
মুলাটোল আমতলা বাজারের ব্যবসায়ী লিটু মিয়া বলেন, আগে পাইকারি বাজার থেকে যত সহজেই পাঁচ ও দুই লিটার বোতলজাল সয়াবিন তেল পাওয়া যেত এখন তা মিলছে না।
অনেক কষ্টে এক-দুইটা বোতল মিলছে। এদিক, গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ৫-১০ টাকা বেড়ে ১৬৫-১৭০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস কিছুটা কমে ৬০০-৬২০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। সিও বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী হোসেন আলী বলেন, বাজারে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এছাড়া গরু খাসির দাম বেড়ে যাওয়ায় মুরগির ওপর চাপ পড়েছে। ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তত রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি টমেটো আগের দামেই ৩০-৩৫ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, মটরশুটি ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা, করলা ১১০-১২০ টাকা, ধনিয়া ৪০ টাকা, চিকন বেগুন ৩০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, সিম ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫টাকা, লেবু প্রতিহালি ১৫-২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩৫০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকা, ফুলকপি ৩০-৩৫ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০-৪৫ টাকা, কাঁচকলা হালি ২০-২৫ টাকা, ঢেড়স ১১০-১২০ টাকা, পটল ১০০-১২০ টাকা, সজনে ১৮০-২০০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টি আলু ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৬৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা ও রসুন আগের দরেই ৬০-৭০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি খুচরা বাজারে ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কার্ডিনাল আলুর দাম সামান্য বেড়েছে। এখন ১৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৬ টাকা এবং শিল আলু আগের দরেই ২৫-২৬ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া খোলা চিনি ৮৫ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৮৫ টাকা, মসুর ডাল মাঝারি ১০০ টাকা, চিকন ১২০ টাকা, আটা প্যাকেট ৪২ টাকা ও খোলা ৩৫ টাকা এবং ময়দা ৫৭-৬০ টাকা প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণা (মোটা) ৪৬-৪৮ টাকা, বিআর২৯ ৩ টাকা বেড়ে ৫৮ টাকা, বি২৮ আগের মতোই ৫৮-৬০ টাকা, মিনিকেট ৬৮ টাকা এবং নাজির শাইল ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মাছের দামে তেমন একটা হেরফের নেই। প্রায়ই অপরিবর্তিত রয়েছে সব ধরণের মাছের দাম।